Skip to main content

My Poems in Bengali Translation


কেশব সিগদেলের কবিতা ।। অনুবাদ: নীলাঞ্জনা অদিতি
[কেশব সিগদেল Keshab Sigdel (জন্ম ১৯৭৯, বরদিয়া নেপাল) একজন কবি, সম্পাদক, কাঠমুণ্ডুতে শিক্ষা ও অধিকার বিষয়ে সক্রিয় কর্মী। তিনি ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী অনুষদে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বেশ কিছু বই প্রকাশ করেছেন যেমন – Samaya Bighatan (2007), এবং Sixty Strings (2011) জনাব সিগদেল বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন যেমন ভানুভক্ত স্বর্ণপদক (২০১৪) এবং কলশ্রী সৃজন পুরস্কার (২০১৫)। কবির সাথে যোগাযোগ করা যাবে এই ঠিকানায়  keshab.sigdel@gmail.com]


কেন এই সেতুবন্ধন?

“Why Does the Bridge Exist?”

আমার কন্যা আমার কাঁধে ধোবিখোলার
সাথে বিজয়ী সম্রাটের মতো উঠে মনের তৃষ্ণা মিটায়
একটি মাত্র পার্থক্য উপলব্ধি করলাম
সম্রাট তার ক্ষমতা যাচাই করে নেন প্রশ্নে।

আমার কন্যা সম্রাটের চেয়েও উঁচু পদ দিতে সংগ্রামরতা
যেন ওর বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানীজন আর সবচেয়ে শক্তিশালী,
যেন ওর বাবার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর আছে যা ওর ভেতর জমা
আর কী লাগে?
আমোদভ্রমণরতা রাজকুমারীর মতো সিডান-আসন-পিতার
কাঁধে চেপে প্রশ্ন বর্ষাতে লাগল।

ধোবিখোলা সেতু পার হতে হতে জিজ্ঞেস করল
আমাদের এইখানে এই সেতু কেন?
আমি প্রত্যুত্তরে বলিকন্যা, এই নদী পার হতে এই সেতু প্রয়োজন।
এই উত্তরে সে সন্তুষ্ট হলো না । ধোবিখোলার শ্বাসরোধ হয়ে আসে
আবর্জনার নিক্ষেপে। শতচ্ছিন্ন একজন
আবর্জনা ঘাঁটছে প্লাস্টিকের ব্যাগ খুঁজতে এবং
একটি কুকুর তার দিকে হুঙ্কার ছাড়ছে আবর্জনার স্তুপ থেকে।

আমার কন্যা স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল
তুমি কি এই স্রোত সেতু ছাড়া পার হতে পারবে না?
কেন তোমার এই স্রোত পেরোতে সেতু লাগবে যার পরিখা পূর্ণ করতে পর্যাপ্ত জল নেই,
আমি নিজেকে প্রশ্ন করলাম । আমি বললাম, এই যানগুলো সেতু ছাড়া পেরোতে পারবে না।
আমি তাকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি।
এই সেতু বাবরমহলকে বানেশ্বর থেকে পৃথক করেছেআমি বিধৃত করি ।
বাবা, বাবরমহল আর বানেশ্বর কি স্রোত ছাড়া এক হতে পারে না?
কন্যার এই প্রশ্ন আমার চিন্তার ভিত কাঁপিয়ে দেয়
সেতু কি আমাদের সংযুক্ত করে, না বিচ্ছিন্ন?
আমি এই প্রশ্নই ভাবতে থাকি।


নিষেধাজ্ঞা
“Embargo”

আমার কন্যা সংখ্যা শিখছে।
শিখছে মাস এবং দিনের নাম।
সে সবকিছু নিজে নিজে করতে চায়
তার বাবার মতো মায়ের মতো।
আর আমরা বলে যাই
এখুনি না খুকী, তুমি এখনো খুব ছোট।

এখন তার ইচ্ছা সে বড় হবে
সে আর ছোট থাকতে চায় না।
কারণ সে সবকিছু নিজে করতে চায়
তার বাবার মতো মায়ের মতো।
তার তৃতীয় জন্মদিনে সে জিজ্ঞেস করলো,
কখন আমি আর ছোট থাকব না?
তার কাছে এই প্রশ্নের গুরুত্ব অনেক।
এইটা তার স্বাধীন চেতনার প্রশ্ন
আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন।

বয়ঃসন্ধি তার বদলের দিকে পদার্পণ করল
আমার জন্য এটা শুধুই বয়স বৃদ্ধি
আমি তার বর্তমান বয়সের সাথে ১০ বছর যোগ করি
আর কন্যা আনন্দিত হয়ে বয়স গুণবে
তদের কাছে এটা দশটি নতুন জন্মদিনের কেক
এবং দশটি নতুন জন্মদিনের উপহার
সেই সীমায় পৌঁছুনোর পূর্বে।

এই বদল ভীষণ ভয়ঙ্কর।
তার ত্রয়োদশ বছর হবে।
সে জেদি হয়ে উঠবে।
সে স্বাবলম্বী হতে চেষ্টা করবে।
বাবার মতো নয় মায়ের মতো নয়
সে যেমন হতে চেয়েছিল তেমন নয়।

এখন আমরা সংখ্যা ভয় পাই
আমরা ভয় পাই সম্ভাব্য জেদকে
যা তাকে আমাদের থেকে বিচ্ছেদী করবে।
এই ভয় নিয়ে
আমরা সংখ্যার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করি
যা অশুভ এবং অলংঘনীয়!


ভূমিকম্প
“Earthquake”

পায়ের নিচের মাটি কেঁপে উঠল

বিশ্রী ক্যাঁচক্যাঁচ শব্দ করছে জানালাগুলো
আমার আবাসস্থল খুব দ্রুত নাচঘরে পরিণত হল
যতক্ষন অব্দি আমি সন্ত্রাসবাদী কিছু জড়ো করি!

এই জীবনকে কি আমরা ভালবাসি? এই মৃত্যুকে কি আমরা ভয় পাই?
ক্ষমা প্রার্থনা করছি এটা ভাবার সময় নয়
আমি আমার প্রিয়জনদের দৌড়ে আসতে দেখি আমার উপস্থিতিতে
প্রেমিকেরা বন্ধুরা অভিভাবকেরা এবং সবাইযারা পারে
তারা দৌড়ায় লাফায় পায়চারি করে হামাগুড়ি দেয়
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে
নিজেদের জীবনের শেষ গানের মাধ্যমে।

আমি বিধ্বস্ত ঘরের সামনে অসহায় বোধ করি
আমি প্রেমিক নই বন্ধু নই একজন ভুক্তভোগী
পবিত্রতা শব্দটি উপহাস মাত্র
আত্মশ্লাঘার কথা চিন্তাই করিনি
আমি তাদের কাছে যাই
কিংবা তারা নতুন রূপে আমার কাছে আসুক
কিছুই গুরুত্ব রাখে না
যতই তারা রক্ষা পরিকল্পনা আনন্দদল নিয়ে আসুক
অথবা আলোকচিত্র কিংবা নিজস্বী তুলুক।

ধন্যবাদ বিধাতা, আমি আবার পাথরকুঁচি দেখতে পেলাম
আসলে অনেক পরিস্কারভাবে এই দূরত্বে
aআমি যখন ওখানে গেলাম
এর কাজ কী, প্রিয়জনেরা?
ওহ আমার হতভাগ্য চোখ
তারাও এই দুরত্ব থেকে দৃষ্টিগোচর হল
আমি কথা দিচ্ছি আমি এইটা বিশ্বাস করতে চাই না।

আমি জানি তারা আবার মাকে
এই সামান্য প্রশ্ন করবে
একটি দুঃস্বপ্ন’, আমি এর মধ্যেই উত্তর ভেবে ফেললাম।



শিষ্টাচার
“Civility”

১)

তারা বলে তুমি গর্তকে গর্ত বলতে পারো না
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তা বললাম।
তারা আমার দিকে একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাকাল
কাঁধ ধরে মৃদু আলিঙ্গন করল
নিজেদের দিকে ফিরে বাঁকা হাসি হাসল (দুঃখিত হাসিই হবে সঠিক অভিব্যক্তি!)
চোখ টিপল এবং বিড়বিড় করল
তুমি কি ফ্রয়েড পড়োনি?
আমি আমতা আমতা করলাম। বুঝিনি কি উত্তর দেব
কিন্তু তারা আমার প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলেন
তারা আমাকে বোঝানোর কষ্ট করলেন
গর্ত রাজনৈতিকভাবে ভুল শব্দ
এইটা যৌনতা বিষয়ক
এইটা শুধুই খালি জায়গা
ওহ ধন্যবাদ মাননীয় শিক্ষকেরা
আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি
কিন্তু কখনো জিজ্ঞেস করার সাহস দেখাইনি
তারা সেই জায়গায় কি করত ।

 ২) 

রেস্তোরাঁর টেবিলগুলো খালি পড়ে আছে
শুধুমাত্র চিনির পাত্র আর হাল্কা ধুলার আস্তরণ ছাড়া
কিছু মাছি চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে
আর মাঝে মাঝে টেবিলে বসে মাথা সঞ্চালন করছে
আমার জন্য এইটা হাসির জন্য যথেষ্ট ছিল!

ওহ দুঃখিত আমি খেয়াল করিনি
তারা ইতিমধ্যেই চেয়ারে বসেছে
দুঃখিত আমি তাদের কথা বলতে শুনিনি
হয়ত এইটা হাসির সময় নয়
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমি হেসেছি।।

তারা আমার দিকে চাইল আর অভদ্রতায় বিরক্ত হল
তারা রুমাল বের করে হাঁচল ও কাশল
তারা নাক থেঁতল যতটা ভদ্রভাবে সম্ভব

তারা ধুলো ময়লাকে অভিশাপ দিচ্ছিল
কারণ তারা ভাবে এই দুরবস্থা এর জন্যই
আমি তাদের কথা ভেবে দুঃখিত হলাম।
যদিও সেইটা আমাদের শেষ সাক্ষাত ছিল না
আরো উপলক্ষ্য এসেছিল সাক্ষাতের
এর পর যখনি দেখা হত
আমি সচেতন থাকতাম যেন না হেসে ফেলি
কিন্তু রুমাল বের করেই
ভদ্রভাবে হাঁচতাম।।

 ৩)

আমার কুঁড়েঘরে আমি নিজের মনে কথা বলি
নিজের মতো করে
যখন কোনো কিছু সুন্দর লাগে আমি সুন্দর বলি
কিন্তু তারা বলে মহানগরীতে এগুলা এক রকম নয়
এখানে সুন্দরী মেয়েরা সুন্দরী নয় কিন্তু যৌনাবেদনময়ী
আর সেইসব পুরুষরা যৌনতা বিশেষজ্ঞ

তাই যদি হয় আমি তাদের বলতাম
আমিও এই নগরীতে থাকতে পছন্দ করব।


চায়ের দোকানে
“At the Teashop”

চায়ের দোকানে
তারা প্রতি সকালে আসে
আরো এক কাপ চায়ের জন্য
তাদের বাসা আর অন্যখানে খেয়ে এসেও।।
এখানে বিশেষ কিছু নেই
হ্যা মিথিলা ভউজাউ তবু ব্যবসার সৌজন্যতা জানেন
তিনি নির্বিশেষে সকলের প্রতিই হাসবেন
যারা তার দোকানে আসবেন
সেই দিনগুলো ছাড়া
যখন খরিদ্দার একটা সংবাদপত্র নিয়ে
এলপি গ্যাস-এর অভাব বা
চিনির উর্ধ্বমূল্য নিয়ে খবর পড়ে

তারা আসে ব্যবসায়িক আলাপ করতে
তাদের নতুন মনিব অথবা
সরকারে সাম্যবাদী দল নিয়ে।
তার এসব আলাপে আগ্রহ নেই
তবু সে তাদের ভালবাসে
কারণ সে ব্যবসায়িক সৌজন্যতা আয়ত্ত করছে
এগুলোকে ভালবাসতে চেষ্টা করছে
যাতে তার ব্যবসায় লাভ হয়।।


সূর্যের রঙ
“Color of the Sun”

সে তাঁর চিন্তায় রঙের প্রলেপ লাগাতে ব্যস্ত
আঙুলগুলো অস্থিরভাবে
তাঁর চিত্রকর্মে ঘুরছে
কার্ডবোর্ডের কাগজের ওপর।।

সূর্যের রঙ কী? সে থতমত খেল
হলুদ, কমলা, না রক্তিম লাল
কে জানে সূর্যের রঙ কী
সে রঙপেন্সিল তুলে নিলো
রঙ করার আগে পেন্সিল তীক্ষ্ণ করে নিল
পেন্সিলের ডগা অবিরত ভাঙতে লাগল
আর এটা তার মস্তিষ্ক তীক্ষ্ণ করতে লাগল

বিরক্তি এবং সন্দেহ নিয়ে
সে মাথা তুলে ধীরে ডানে ঘুরল
এবং ধাঁধাগ্রস্ত চোখে আমার দিকে তাকাল
সম্ভবত আমার অসহযোগিতার দিকে।
নিজ চোখই তার অনুভূতি বলে দিচ্ছিল
কিন্তু আমি কখনো সূর্য রঙ করিনি, জানো?
আমি কখনো সূর্যকে কাছ থেকে
রঙ জানতে অনুভব করিনি।
মাঝে মাঝে আমি
এর তীব্র তাপকে ঘৃণা করেছি
অথবা এর অনুপস্থিতিকেও। কিন্তু রঙ?
সূর্যের কি আদৌ কোন রঙ আছে?
আমার ছোট্ট কন্যার সাথে সূর্যও হেসে ওঠে
আর হাসির রঙ কী, কিভাবে বলি?

বাইরে খুব জোরে বৃষ্টি হচ্ছে,
আর ভেতরে আমার বিবেক
ক্রুরতা তৈরি করতে করতে আমাকে
ক্ষয় করে ফেলছে
হিমশীতল হ্রদে সূর্যের প্রতিবিম্ব পড়ছে।
হ্রদের সূর্যের রঙ কী?
সম্ভবত আমার মনের রঙ।
তাড়াতাড়ি করে নিজের সূর্য নিজেই অঙ্কন কর হে!


নিখোঁজ সূর্য
“The Missing Sun”

তার অল্পবয়সের আবেগে
সে আকাশ থেকে সূর্য ছিঁড়ে এনেছিল

অনাবিল আবেগে পূর্ণ হয়ে
এই নবীন সূর্যের জন্য
সে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরল
এবং ত্বকে ত্বকে উষ্ণতা অনুভব করল।

কতক্ষণ কেউ আত্মসমর্পণ করতে পারে?
সূর্য আকাশকে কথা দিয়েছিল
সে ফিরে আসবে!

কিন্তু কারো সাথে সূর্যকে
ভাগ করার অনিচ্ছায়
সে সূর্যকে সাবধানে
লাল শাল দিয়ে ঢেকে দিলো
এবং সন্তর্পণে তাকে
নিজের স্মৃতির তাকের কোনায়
লুকিয়ে রাখল।

অনুবাদক (Translator):
নীলাঞ্জনা অদিতি (Nilanjana Aditi), জন্ম ও নিবাস ঢাকা। ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ। তার আগ্রহের বিষয়  সাহিত্য, সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র।


Comments

Popular posts from this blog

चराहरुको जुलुस

केशव सिग्देल कीर्तिपुरको डाँडामा उभिएको छु म यतिबेला र जिब्रो थुतिएको भैरवको थान अघिल्तिरबाट म खोजिरहेछु शक्तिको नाभीस्थान । देउता पनि मूक बसेको यो अग्लो ठाँऊबाट विवश भएर म हेरिरहेछु कंक्रिटको जङ्गलभित्र ढल्दै गरेको न्याय र जीवहरुका खुम्चिँदै गएका पाइलाहरु अब यहाँबाट देखिन्छ उही पुरानो, जर्जर, दरबार जस्तो गुफा मात्र । शाक्तिको उन्मादमा एउटा बुढो सिंह आफूलाई त्यो दरबारको राजा घोषित गर्छ र आफ्नो भोक तृप्तीका लागि हरेक दिन आफ्नै वस्तीका जीवहरुलाई एक एक गरी खाने कानून बनाउँछ । भय र सन्तापमा परेका जीवहरु बिरोधमा बोल्न सकेका छैनन् । दम्भको कलिङ्ग ठड्याएर त्यस गुफाभित्र सबै जीवका आवाज थुत्ने प्रपन्च गरिरहेछन् त्यो बुढो सिंह र केही थान छट्टु स्यालहरु । देबढोका पश्चिमको गुम्बामा डम्फुको आवाज खुब चर्को गरि बजिरहेछ, सायद गुम्बाका भिक्षुहरु निमुखा मृग र चराका हाडखोर देखेर अत्तालिएका छन् । गुफाको स्वघोषित राजालाई थाहा नहुन सक्छ बालकथाका खरायो मन्दिरको खापामा राखिएको तरवार झिकेर देव पुखूमा पखालिरहेछ हारेको युद्धका खाटाहरु । विवेक वर्जित गरिएको शहरमा फेरी बिरोधक...

Men, Words and Metaphors: An Interview by Isha Gharti

Interview re-posted from   Fr ! day Bal Bahadur Thapa (Balu), Keshab Sigdel and Prakash Subedi, represent the Nepali poets/writers of the new generation. Over the last decade, in addition to their powerful writing, they have been very active in the literary scene. They have contributed to the theatre and film scenario and have been active through organizations such as Society of Nepalese Writers in English (NWEN), Literary Association of Nepal (LAN) and Devkota Study and Research Center (DSRC). Apt with skills, substance and a will to contribute to national literature, they are a strong force to be reckoned with. Steadily gaining national and international recognition, they are slowly changing the scene of English writing in Nepal. What made you get into literature? Bal Bahadur: “I used to read a lot when I was young, everything from Hindi comics, like Bankelal to Prakash Kobit to Thomas Hardy, which is what inspired me to write, though I only started writing afte...

A Conversation with God

During the prayer to God I said, ‘I have nothing to offer but my dreams.’ God was not assured. Hundreds of devotees queue up everyday at least with a basket of flowers, a few incense sticks, and a coin or two. I saw no reason why God should be unhappy with me, and with them all. To God, I said again, ‘I have nothing to offer but my faith.’